সাতদিনে ১৭৮ টি পথ কুকুরের মৃত‍্যু , চাঞ্চল‍্য মন্দির নগরী এলাকায়

18th February 2021 12:28 pm বাঁকুড়া
সাতদিনে ১৭৮ টি পথ কুকুরের মৃত‍্যু , চাঞ্চল‍্য মন্দির নগরী এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ধারাবাহিকভাবে পথ কুকুর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। গত কয়েক দিনে এখনো পর্যন্ত সর্বমোট ১৭৮ টি পথ কুকুর মারা গেছে বলে খবর। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন পৌরবাসী, উদ্বিগ্ন পৌরসভা।

    বিষ্ণুপুর পৌরসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ৬০ টি, বুধবার ৮৩ টি ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি কুকুর মারা গেছে। হঠাৎ কি কারণে একের পর এক পথ কুকুর মারা যাচ্ছে বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারো কাছেই। পৌর কর্তৃপক্ষের তরফে ঐ সব মৃত পথ কুকুর শহরের ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে মৃত কুকুর ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত অনেকেই। এর ফলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ।

   ধারাবাহিক কুকুর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরাও। ঠিক কি কারণে শহরে এই কুকুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

   শহরের সরকারী পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ মৃণাল কান্তি দে ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই সময় কুকুরের মধ্যে 'ভাইরাল ইনফেকশানে'র সম্ভাবনা বাড়ে। পথ কুকুরদের সেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়না। ফলে ঐ ভাইরাল ইনফেকশান থেকেও এই কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে অসুস্থ পোষ্য কুকুর নিয়ে এখনো কেউ চিকিৎসা করাতে আসেনি। বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মৃত কুকুরের ময়নাতদন্তের পর রোগ নির্নয় সম্ভব বলেও তিনি জানান।

   শহরে কুকুর মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন পৌর প্রশাসক দিব্যেন্দু ব্যানার্জী। সাম্প্রতিক সময়ে এই কুকুর মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।